জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারায় বিশেষ কী মর্যাদা পেত কাশ্মীর?জেনেনিন

শিলিগুড়ি বার্তা,নয়া দিল্লি,০৬ই আগস্ট:কাস্মীরের ৩৭০ ধারা নিয়ে প্রশ্ন ছিল দেশের মানুষের মনে। আতঙ্ক ছিল কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মধ্যে। টানটান উত্তেজনার মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর পুনগর্ঠন বিল পেশ করা হল সংসদে। বিলে সইও করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বাতিল করা হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। বিধানসভা থাকলেও, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর। অন্যদিকে অন্য একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে লাদাখ।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারায় বিশেষ কী মর্যাদা পেত কাশ্মীর।
১) ৩৭০ ধারার খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপালস্বামী আয়াঙ্গার।
২) ভারত সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার আগে জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিংয়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন আয়াঙ্গার।
৩) সংবিধান সংশোধন করে ৩৭০ ধারার অন্তর্ভুক্তি হয়।
৪) ৩৭০ ধারা অনুযায়ী বিশেষ মর্যাদা পায় জম্মু ও কাশ্মীর।
৫) সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পেত জম্মু ও কাশ্মীর।
৬) এই ধারার জেরে, সংবিধানের ২৩৮ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরে প্রযোজ্য নয়।
৭) ১৯৪৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ খসড়া প্রস্তুতে তৎকালীন আইনমন্ত্রী বি আর আম্বেদকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শেখ আবদুল্লা। এমনই নির্দেশ ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর।
৮) ১৯৫২-র ১৫ নভেম্বর সংশোধিত খসড়া অনুযায়ী রাজ্যে বিধানসভা ও রাজ্যপালের ভূমিকা স্পষ্ট হয়।
9) জম্মু ও কাশ্মীরে প্রযোজ্য সংবিধানের ৩৭০ ধারা অস্থায়ী বিধান।
১০) সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের সীমানা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না ভারতীয় সংসদ।
Leave a Comment