দেশের প্রথম কমান্ডার বাংলার অগ্নিকন্যা শর্বরী দাস

পারমিতা রায়,শিলিগুড়ি বার্তা,ওয়েবডেস্ক,০৮ই আগস্ট:নারীরা যে পিছিয়ে নেই তাই ফের একবার প্রমাণ করলেন বাঙালি অগ্নিকন্যা। বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্ম থেকে পঞ্চম প্রজন্মে পদার্পণ করতে চলেছি, অর্থাৎ ফাইভ-জি তে। এখন আর পিছিয়ে নেই এক দেশ এক আইন রীতির মহিলার। যেখানে আকাশে যুদ্ধ বিমান উড়িয়ে চলেছে দেশের মহিলারা। সব স্থানেই প্রাধান্য পেয়েছে নারীরা। পুরুষের থেকে কম নয় তাই ফের বুঝিয়ে দিলেন দেশের প্রথম নারী কমান্ডার হয়ে।
দেশের প্রথম মহিলা কমান্ডার হলেন বাঙালি মেরিন অফিসার শর্বরী দাস। ১৯৯২ সালে তিনি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের মেরিন বিভাগে লেডি ট্রেনি অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। সেটা ছিল ঐতিহাসিক একটি ঘটনা। কারণ দুই মহিলাকে সেই পদে নিয়োগ করেছিল পোর্ট ট্রাস্ট। অন্যজন অবশ্য মাঝপথে হাল ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু শর্বরী চ্যালেঞ্জটি নেন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১১ সালের এপ্রিলে কাজে যোগ দেওয়ার প্রায় ২০ বছর পর তিনি পাইলট সার্ভিসে যোগ দেন।
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে সার্ভিস এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। ১৪০ বছর ধরে তাতে পুরুষদেরই আধিপত্য ছিল। কিন্তু শর্বরী প্রথমবার পরীক্ষাতে বসেই তাতে সফল হয়ে হাইড্রোগ্রাফার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি বিয়ে করেন। ১৯৯৮ সালে সিনিয়র হাইড্রোগ্রাফার হিসেবে প্রথম পদোন্নতি পান। শর্বরী স্মৃতিচারণ করে জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই পুরুষ প্রধান এই চাকরিতে তাঁকে কোনও বৈষম্যের মধ্যে পড়তে হয়নি। পুরুষ সহকর্মীরা সবসময়েই তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ২৭ বছরের চাকরিজীবন কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। বরং কাঁটার মতো চ্যালেঞ্জ টপকে টপকে তাঁকে এগতে হয়েছে। তাই ১৯৯২ সালে যে মৃদুভাষী, নরম মনের মেয়েটি ছিলেন, তা থেকে সম্পূর্ণ বদলে এখন তিনি পাথরের মতো কঠিন। বাস্তবে কোনো কিছুই কঠিন না তার উদাহরণ বাঙালি অগ্নিকন্যা শর্বরী দাস। শত বাধা পেরিয়ে জয়ের শিখরে পৌঁছেছে আজ তা আর বলতে বাকি রইল না।
Leave a Comment