বেআইনি ভাবে নির্মাণ হচ্ছিল বাড়ি! প্রতিবাদ করায় মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হল চোখ।

বেআইনি ভাবে নির্মাণ হচ্ছিল বাড়ি! প্রতিবাদ করায় মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হল চোখ।
অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল বাড়ি। প্রতিবাদ করায় মারধরের অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গিয়েছে, গত শনিবার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্যামাপ্রসাদ ঘোষের হরেন মুখার্জির রোড-এর বাড়ির পাশে অবৈধভাবে বাড়ির চত্বর দখল করে চলছিল বেআইনি নির্মাণ, প্রতিবাদ করেন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ ও স্ত্রী সোমা ঘোষ এবং তারপরেই তাদের ওপর চড়াও হয় দুই যুবক, চলে মারধরও। তাতে গুরুতর জখম হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ। এরপর দুই যুবক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সোমা ঘোষকে, এমনকি তাকে ধাক্কাও দেন বলে জানান অভিযোগকারী। শ্যামাপ্রসাদ বাবু জানান, স্ত্রীর উপর যখন চড়াও হয় দুই যুবক, তখনই তাদের সঙ্গে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপরেই অভিযুক্ত দুই যুবক তন্ময় হালদার এবং পুচু হালদার শ্যামাপ্রসাদ ঘোষকে মারধর করে। যার ফলে চোখের নিচে ছটি সেলাই পড়েছে তার। তড়িঘড়ি সমস্ত বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রশাসনের দারস্ত হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই, শ্যামাপ্রসাদ বাবুর পরিবারের তরফে ওই দুই যুবকের নামে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, অভিযোগের তীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাসুদেব ঘোষের ভূমিকা নিয়ে। অভিযোগকারী জানান, এই বিষয় নিয়ে শনিবার-ই বাসুদেব ঘোষকে একাধিকবার ফোন করেন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজও করেন তিনি, তবুও উত্তর মেলেনি কোনো। কাউন্সিলারের এমন আচরণে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন শ্যামাপ্রসাদ বাবু।
অন্যদিকে অভিযোগকারী জানান, দুই মূল অভিযুক্ত পুচু হালদার এবং তন্ময় হালদার তৃণমূলের সঙ্গে তার গভীর যোগ রয়েছে, শাসকদলের আশকারাতেই দিনদুপুরে গুন্ডামি চালাচ্ছে তারা। বাড়ির পাঁচিল ঘিরে আরও একটি বেআইনি নির্মাণ হওয়ায় প্রতিবাদ করেননি কাউন্সিলারও।
ইতিমধ্যেই সমস্ত বিষয় নিয়ে পুলিশি কারবারি শুরু হয়েছে, তদন্তে নেমেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনার দিন দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন বলে জানান ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাসুদেব ঘোষ। তিনি বলেন, অবৈধ নির্মাণটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে দেবেন তিনি।
Leave a Comment