তিনটি বিষয় শিখলেই মুখ গহ্বরের ক্যানসার নির্ণয় করা যায়,কিভাবে জানতে ক্লিক করুন।

বরুন মজুমদার,নিউজডেস্ক,৩১শে মে:ওরাল স্ক্রিনিং একটি নিদির্ষ্ট বয়সের পরে সব নারী পুরুষেরই ওরাল স্ক্রিনিংয়ের চেকআপ করা উচিত। চিকিৎসক ছাড়াও সাধারণ স্বাস্থ্যকর্মী দিয়েও এই রোগ নির্ণয় করা যায়। তিনটি বিষয় শিখলেই মুখ গহ্বরের ক্যানসার সহজেই নির্ণয় করা যায়। মুখ গহ্বরের ভেতর যে ঝিল্লি থাকে সেই মিউকাস ম্যামব্রেনে যদি লাল লাল ছোপ দেখা দেয়, সাদা খসখসে আবরনের মতো পড়ে অথবা মিউকাস মেমব্রেনের নিচের দিকে একটি ছোট্ট ঘা হয় তাহলে ভাবতে হবে ওই ব্যক্তির মুখ গহ্বরে ক্যানসার হয়েছে। এই বিষয়গুলো স্বাস্থ্যকর্মী নির্ণয় করার পর পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট পাঠাবে। স্বাভাবিক চিকিৎসা নেওয়ার পরও যদি লক্ষণসমূহ দেখা যাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে কোন উন্নতি অথবা পরিবর্তন না হয় তখন অবশ্যই অতি দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জরায়ু মুখের ক্যানসার নির্ণয়ঃ
জরায়ু মুখের ক্যানসার নির্ণয়ে পেপটেস্ট পরীক্ষা করা হয়। রোগীকে শুইয়ে স্পেকুলাম দিয়ে জরায়ুর মুখটি একটু দেখা হয়। একটি স্পেচুলা যেটা আইসক্রিমের চামচের মতো দেখতে, সেটা দিয়ে জরায়ুতে ঘুরিয়ে কস নিয়ে আসা হয়। এই কস মাইক্রোস্কোপে পরীক্ষা করে দেখা হয় ক্যানসার আছে কি না। এই পদ্ধতিটি কিছুটা ব্যয়বহুল। তাই দরিদ্র দেশের জন্য আরেকটি পদ্ধতি বেশ প্রচলিত হয়ে গেছে, যেটা ভায়া (ভিজুয়াল ইন্সপেকশন বাই এসিডিক এসিড) নামে পরিচিত। কাঠির মাথায় তুলা লাগানো এক ধরনের পরীক্ষণ যন্ত্র বা সপস্টিক দিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। এসিডিক এসিডে সপস্টিক ভেজানো হয় এবং জরায়ুর মুখ খুলে সপস্টিক স্পর্শ করা হয়। রঙের পরিবর্তন হলে ভায়া পজিটিভ এবং কোন পরিবর্তন না হলে ভায়া নেগেটিভ। তবে ভায়া পজিটিভ মানেই কিন্তু ক্যানসার নয় আবার অপরদিকে ভায়া নেগেটিভ মানেই কিন্তু ক্যানসার থেকে মুক্ত এমন নয়।
Leave a Comment