Breaking News

শীল পাটা ধার করাবেন,,, শীল পাটা, হাড়িয়ে যেতে চলেছে সেই ডাক

Image
 

সুরঞ্জিত ধর, কোচবিহার ১৩ সেপ্টেম্বরঃ " শীল পাটা ধার করাবেন,,, শীল পাটা" এই হাক বর্তমানে এখন আর শোনা যায় না। বিগত বছর দশেক আগেও শোনা যেত। শহর কিংবা গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় শীল পাটা ধার করাবেন বলে হাক দিয়ে যেত যখন এই ফেরিওয়ালারা তখন গৃহ বধূরা তাদের রান্নার মশলা পেশার মুল উপকরণ নিয়ে এসে  তাদের সামনে হাজির হতেন। 

বলা যায় বাটাল অথবা ছেণী এবং হাতুড়ি দিয়ে ঠুকটাক শব্দের তালে নিপুণ শৈল্পিক কারিগরিতায় এই ফেরিওয়ালারা শিল পাটায় ধার তুলে দিতেন। বিভিন্ন চাহিদা মতো তারা তাদের দক্ষতার মাধ্যেমে শীল পাটায় বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তুলতেন। এই ছেণী, বাটাল ও হাতুড়ির  মেল বন্ধনে ঠুকটাক মধুর শব্দের তালে ধার করাতেন শীল পাটা। এই কর্ম দেখার জন্য ভীড় জমাতেন এলাকার শিশু সহ বৃদ্ধরাও। তবে আজ কর্ম ব্যাস্ততার মধ্যেও কোচবিহার শহরের এক পাড়ায় বহুদিনের পুরনো  সুরকানে বেজে উঠল। ফিরে দেখি সেই ফেরিওয়ালা হাক দিচ্ছেন শিল পাটা ধার করাবেন। তখনই ছুটে গেলাম সেই ব্যাক্তির কাছে প্রশ্ন করলাম আপনার নাম কি? এখনও এই কাজ করে আপনার সংসার চলে? প্রত্যুত্তরে তিনি জানান আমি নির্মল কর্মকার বিগত ১৫-২০ বছর এই কাজ করে আসছি। আগে দিনে ৩০০-৪০০ টাকা রোজগার হতো এখন দিনে দু-আড়াইশোর বেশি হয়না।

নির্মল বাবু আরও বলেন যে এখন বিভিন্ন রকম যান্ত্রিক সুবিধা হয়ে গেছে মশলা পেশার জন্য পাশাপাশি পেকেটের গুড়ো মশলা মানুষের রান্নাঘরের পরিশ্রম কমিয়ে সুবিধা করে দিয়েছে। তাই এখন আর কেউ বেশি শীল পাটা ব্যাবহার করে না। সেহেতু অতীত থেকে বর্তমান সময়ে রোজগার হচ্ছে অনেকটাই কম। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অনেক জিনিসই যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক গুরুত্ব ভূমিকা ছিল। যান্ত্রিক শব্দের দাপটে সেই শীল পাটা ধার করাবেন ফেরিওয়ালার হাককে  যেন কন্ঠরোধ করে দিচ্ছে। হয়ত আগামী দিনে শীল পাটা সহ এই কর্মের সাথে যুক্ত তাদের  খুজে পাওয়া দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

Share With:


Leave a Comment

  

Other related news