Breaking News

যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের দাবিতে কলকাতার সল্ট লেক সিটির উন্নয়ন ভবনের সামনে চলা প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি আজ নবম দিন অতিক্রান্ত হয়ে দশম দিনে পড়তে চলেছে। সহকর্মীদের করুন অবস্থা দেখে ভারাক্রান্ত মনে কলম ধরলেন প্রাথমিক শিক্ষক বিভাস দাস।

Image
 

কমল কুমার বিশ্বাস,বালুরঘাট,২১ শে জুলাই:যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের দাবিতে কলকাতার সল্ট লেক সিটির উন্নয়ন ভবনের সামনে চলা প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি আজ নবম দিন অতিক্রান্ত হয়ে দশম দিনে পড়তে চলেছে। সহকর্মীদের করুন অবস্থা দেখে ভারাক্রান্ত মনে কলম ধরলেন প্রাথমিক শিক্ষক বিভাস দাস।
     ¶চিনতে পারছেন এদের¶
___________
পথে সারি সারি 
পড়ে আছে যেন 
    জীবন্ত সব লাশ ! 
অতি সযতনে 
মানব-জমিনে 
   এঁরাই করেন চাষ!!
সত্যিই তাঁরা
পথে বসে আজ
    চিনতে পারেন কেউ?
গোটা রাজ্যেই 
ছড়িয়েছেন আজ 
    এ বিদ্রোহের ঢেউ !
এঁদের কেউবা 
দিদিমণি, আর 
   কেউবা আবার মাস্টার !
তাদের দু'হাতে 
থাকবার কথা 
  টি. এল. এম. চক ডাস্টার!
আজকে এঁরাই
শুয়ে-ব'সে আছে 
   খোলা রাস্তার 'পরে!
মানুষ গড়ার 
কারিগর এরা 
   দেখে চোখ জলে ভরে!
মাঝে মাঝে নানা 
বিদ্বজ্জন 
পাশে দাঁড়িয়েছেন এসে;
তাদের কথায় 
গানে কবিতায় 
    মনটা যায় যে ভেসে!
পারিশ্রমিক 
পান না ন্যায্য
   সেটা সরকারি  দোষ!
গলা উঁচু ক'রে 
বলে গিয়েছেন 
কবি শ্রী শঙ্খ ঘোষ ! 
আমাদের এই 
দুরবস্থায় 
অনেকেই এসেছেন  
সমীর আইচ 
থেকে শুরু ক'রে     
    মন্দাক্রান্তা সেন !
কখনো বা ওম-
প্রকাশ মিশ্র
কখনো সব্যসাচী!
সরকার সেই 
কথা শুনলেই
    আমরা যে প্রাণে বাঁচি !
যদিও আমরা 
চাই না এখানে 
হোক কোনো রাজনীতি,
 আসুন তাঁরাই 
আমাদের প্রতি
   রয়েছে যাদের প্রীতি !
সকলেরই মুখে 
শুনি এক কথা 
    আমরা যে বঞ্চিত!
এত দিন ধরে 
অনশন ক'রে 
    তবুও যে লাঞ্ছিত !
আমরণ এই
অনশন আজ 
    অষ্টম দিনে পড়লো!
শিক্ষামন্ত্রী 
ডেকেছেন শুনে 
  ভেবেছি টনক নড়লো !
ব্যস্ত মুখ্য-
মন্ত্রী বোধহয় 
   এখনো সময় পাননি; 
তাই তিনি এই 
অনশন-স্থলে  
  একটি বারও যে যাননি!
এই রাজ্যের 
নানা জেলা থেকে
    শিক্ষিকা-শিক্ষক!
পালা করে একে- 
একে আসছেন
    ছেড়ে ডাস্টার ও চক।
কেউ এসেছেন 
পিতা বা মাতার 
    মৃত্যুতে গুরুদশায় !
অস্বাস্থ্যকর 
অনশন-স্থলে
   ভরা যা মাছি ও মশায়!
মানব দরদী 
সরকার এখনো 
তোমার কি চোখ অন্ধ? 
পানীয় জল যা 
পাচ্ছিলাম তা
   কেন হয়ে গেল বন্ধ ?
এই অনশন 
স্থলের কাছেই 
     সরকারি ক্যান্টিনে,
অনেক টিচার 
খাবার খেতেন 
     রাত্রে এবং দিনে !
কার অঙ্গুলি-
হেলনে হঠাৎ 
   সেটাও যে হলো বন্ধ ! 
অনেকেই খুঁজে 
পাচ্ছেন এখানে 
     ষড়যন্ত্রের গন্ধ !!
ওগো মাননীয়া 
মুখ্যমন্ত্রী
     আর তো সময় নাই ,
আন্দোলনে 
এবার আপনার 
     হস্তক্ষেপ চাই !!
একাধিকবার 
আমরা দেখেছি 
    তব মানবিক মুখ !
ন্যায্য বেতন 
চাইছি আমরা 
  কেউ নই ভিক্ষুক !
আপনাকে পাশে
পেয়েছে মানুষ
    সিঙ্গুরে নন্দীগ্রামে !
তবু কেন সাড়া 
নেই আপনার
     আমাদের সংগ্রামে !
আমরণ এই
অনশন-ফলে
     হলেই কাউকে মরতে,
সারাটা জীবনে 
পারবেন ম্যাম 
   নিজেকেই ক্ষমা করতে ?
রুখতে ঘটনা
দুঃখজনক 
   আপনার প্রিয় বঙ্গে !
বিষয়টা নিয়ে 
ভাবুন ম্যাডাম   
    সহানুভূতির সঙ্গে !
হাজার দিবস ও
রাত্রি কেটেছে 
    তীব্র বঞ্চনাতে ! 
সমস্যাটার 
সমাধান হোক
   ম্যাডাম, আপনার হাতে !

Share With:


Leave a Comment

  

Other related news