ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ?জানতে ক্লিক করুন

নিউজডেস্ক,২৯শে মে:অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত সকল রোগের সমষ্টিই ক্যান্সার নামে পরিচিত। এই রোগে মৃত্যুর হার অন্যান্য রোগের তুলনায় অনেক বেশি। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
সাধারণত প্রতি চারজন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি মারা যায়। সাধারণত সাতটি বিষয়কে ক্যানসারের বিপদ সংকেত বলা হয়। যেমন- খুসখুস কাশি, ভাঙ্গা কণ্ঠস্বর, সহজে ঘা না শুকালে, স্তনে বা শরীরের কোথাও কোনো চাকা বা পিণ্ডের সৃষ্টি হলে, মল ত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন হলে, ঢোক গিলতে কোনরকম অসুবিধা বা হজমে অসুবিধা হলে, তিল কিংবা আচিলের কোনো সূক্ষ পরিবর্তন হলে। সাধারণভাবে এই সাতটি বিপদ সংকেতের কথা সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রচার হলে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সারকে অনেকাংশে নির্মূল করা সম্ভব হয় কিন্তু ক্যান্সার সহজে ধরা না পড়ার কারণে, এ রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। যদিও ক্যান্সার সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকলে এবং একটু সচেতন হলে ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকা যায়।
দীর্ঘ সময় ধরে জ্বর ও কাশিঃ
ঋতু পরিবর্তনের কারণে অথবা নানান রকম ভাইরাস জ্বরে আমরা সবাই কম-বেশি আক্রান্ত হই। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে জ্বরে আক্রান্ত থাকলে এবং জ্বরের সাথে কাশি থাকলে, অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এছাড়াও ঘন ঘন জ্বর ওঠাকেও কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ দীর্ঘমেয়াদে জ্বর এবং জ্বরের সাথে কাশি, ব্লাড ক্যান্সার, লিম্ফোমা অথবা লিউকোমিয়ার লক্ষণ। এক্ষেত্রে অতিদ্রুত ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
রক্তপাতঃ
কফ অথবা কাশির সাথে রক্ত আসলে এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। প্রস্রাব অথবা পায়খানার সাথে রক্ত বের হলে এটি ব্লাডার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন থেকে রক্ত বের হলে এটি স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও মহিলাদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অথবা মাসিকের সময় ব্যতিত অন্য কোনো সময়ে রক্তক্ষরণ হলে এটিও ক্যান্সারের লক্ষণ। এইসকল লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
ক্ষুধামন্দা এবং ওজন হ্রাস পাওয়াঃ
অনেকসময় আমাদের খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায় অর্থাৎ ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা এটাকে তেমন গুরুত্ব দেই না। আর এসময় আমাদের ওজন যদি হ্রাস পায়, সেটাকেও আমরা খুব স্বাভাবিকভাবেই নেই। ক্ষুধামন্দা এবং ওজন হ্রাস পাওয়া এই দুটোই কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ। তাই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষুধামন্দা হলে এবং ওজন হ্রাস পেলে, অবশ্যই অতি দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে।
শরীরে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভূত হলেঃ
ঠাণ্ডা লাগলে অথবা অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে প্রায়ই আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। কিন্তু শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা অনুভূত হলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। যেমন- অতিরিক্ত মাথা ব্যথা ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়াঃ
অনেক বেশি পরিশ্রম করলে অথবা সারাদিন কাজের শেষে ক্লান্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু অল্প পরিশ্রমে অথবা খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়লে, অথবা অল্প পরিশ্রমেই দুর্বল হয়ে পড়লে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
চামড়ায় কোনো ধরনের পরিবর্তনঃ
চামড়ায় ছোট ছোট দানার মত হলে, চামড়ার রঙের কোন পরিবর্তন হলে অথবা কারণ ছাড়াই শরীরের কোন অংশে জখমের মত ক্ষত তৈরি হলে এটি স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও, শরীরের কোনো স্থানের ঘা সহজে না সারলে অথবা শরীরের কোনো স্থানে শক্ত চাকার মত অনুভূত হলে এটিও ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
Leave a Comment